Online NID Card Download – জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড। মাঝে মাঝে আমাদের প্রায় সবারই জাতীয় পরিচয়পত্র খুবই জরুরী হয়ে যায়। কিন্তু সঠিক সময়ে বা বিভিন্ন কারণে আমরা আইডি কার্ডটি পাইনা। সুতরাং, তখন জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার একমাত্র ভরসা অনলাইন। বর্তমানে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতেও কিছুটা সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়। তাই, অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে আপনার করণীয় কী, কিভাবে ঘরে বসেই online থেকে NID কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন, ফি কত, ডাউনলোড লিংক, NID প্রিন্ট আউট কপি ইত্যাদি যাবতীয় প্রসেস আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করতে চলেছি। আপনি যদি আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড পেতে ঝামেলা বা সময়সাপেক্ষ মনে করেন তবে নিবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন। এই ক্ষেত্রে অনলাইনে NID Card Download আপনার কাছে সহজ হয়ে যাবে।
Contents
NID Card
NID Card বা জাতীয় পরিচয়পত্র হলো একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়। যা দ্বারা সে নিজেকে উক্ত দেশের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করতে পারে। এই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সে ভোট প্রদান সহ নানান ধরণের সরকারি ও বেসরকারি কাজ পরিচালনা করতে পারে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি NID Card ছাড়া দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্র প্রায় অচল। এমনকি দেশের নাগরিক হিসেবে যেসব সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেসব থেকে বঞ্চিত হবেন ওই ব্যক্তি। সুতরাং দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব বুঝতে পারছি। বাংলাদেশী অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভোটার আইডি কার্ড নামেও চিনে থাকে।
Online NID Card ডাউনলোডের ধাপসমূহ
NID card online কপি পেতে ব্যক্তির আর কোন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। বরং খুব সহজেই কোন ব্যক্তি তার জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি পেতে পারেন। উপরোক্ত যে সকল তথ্য দিয়ে আপনি এন আইডি কার্ড উত্তোলন করতে আবেদন করেছেন তা ভ্যারিফিকেশন করার জন্য কিছুদিন সময় নেওয়া হবে। অনলাইনে প্রদান করা তথ্যের উপর ভিত্তি করে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার তথ্যগুলো ভ্যারিফিকেশান করবেন। এরপর আপনার তথ্য সঠিক হলে নির্দিষ্ট সময় আপনাকে SMS এর মাধ্যমে আপনার NID card online copy ডাউনলোড করার নির্দেশ দেওয়া হবে।
অনলাইনে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে আপনার যা যা করনীয় তা এখন আমরা কয়েকটি ধাপে আলোচনা করতে চলেছি। আপনি উক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনার NID কার্ড এর অনলাইন কপি পেতে পারেন। চলুন তবে ধাপসমূহ জেনে নেওয়া যাক।
www nidw gov bd
অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয়পতত্রের অনলাইন কপি পেতে প্রথম ধাপে আপনাকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। https://services.nidw.gov.bd/ তে লগিন করার মাধ্যমে আপনি উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। যদি আপনার একাউন্ট না থাকে তাহলে নতুন একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর আপনি সেখানে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও তথ্য দ্বারা ফরম পূরন করে নিতে পারবেন। NID শব্দ লিখেও অনেকে এই ওয়েবসাইট এড্রেস সার্চ করে থাকেন। আপনাদের সুবিধার্থে আপনার করণীয় কাজগুলো আমরা ধাপে ধাপে আলোচনা করেছি।
Online NID Card রেজিস্ট্রেশান
দ্বিতীয় ধাপে আপনাকে বেশ কিছু তথ্য দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনাকে একটি ফরম পূরন করতে বলা হবে। সঠিক তথ্য দ্বারা আপনি সেই ফরম পূরন করবেন। ফরম পূরন হয়ে গেলে তা সাবমিট করতে হবে। এরপর আপনার রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হবে। nidw.gov.bd এ রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো:
- প্রথমে ভিজিট করুন https://services.nidw.gov.bd/।
- বাংলাদেশ এনআইডি application system ওপেন হলে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই ক্ষেত্রে দুইটি অপশন রয়েছে যেমন, যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র রয়েছে তাদের রেজিস্ট্রেশন এবং যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র নেই নতুনভাবে নিবন্ধন করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আবেদন করার অপশন। যেহেতু আপনার একাউন্ট আছে এজন্যই আপনি এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন সুতরাং আপনি ”রেজিস্টার করুন” বাটনে ক্লিক করুন।
- একাউন্ট রেজিস্টার পেজে, নির্দিষ্ট ঘরে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর বা ফর্ম নম্বর, জন্ম তারিখ এবং একটি ছবি প্রদর্শিত হবে, ছবিতে প্রদর্শিত সেই কোডটি হুবহু লিখুন তারপরে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। আপনার যদি আগে থেকেই একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করা থাকে তাহলে আপনাকে এই বিষয়ে একটি মেসেজ দিবে তবে আপনি চাইলে আবারও অ্যাকাউন্টটি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
- পরবর্তী ধাপে আপনার বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা ও উপজেলা) নির্বাচন করুন।
- তারপরে আপনার মোবাইল নাম্বারটি প্রদান করুন। আপনি ব্যবহার করেন সেই মোবাইলে ব্যবহার করবেন কেননা পরবর্তীতে মোবাইল নাম্বারটি প্রয়োজন হতে পারে এবং তাৎক্ষণাৎ মোবাইলে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে যা আপনাকে প্রদান করতে হবে।
- মোবাইল নাম্বার প্রদান করার পরে আপনার মোবাইলে ছয় সংখ্যার একটি যাচাই করুন কোড আসবে। এসএমএসের সেই ছয় সংখ্যার যাচাইকরণ করতে উক্ত স্থানে দিয়ে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
- তারপরে আপনি আপনার একাউন্টের ড্যাশবোর্ডে এনআইডি কার্ড সংশোধন বা ডাউনলোড করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
NID Card Info Check
আপনি যদি online NID Card Download করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বরাবর রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এরপর NID card check অর্থাৎ আপনার রেজিষ্ট্রেশন করার সময় যে তথ্য গুলো দিয়েছেন তা যাচাই বাছাই করে নিতে হবে। প্রথমে আবেদন করার সময় আপনি যদি কোন ভুল তথ্য প্রদান করে থাকেন বা নাম বা পিতা-মাতার নামে কোন রকম বানান ভুল বা অন্য কোনো ত্রুটি আপনার চোখে পড়ে তবে তা যাচাই করে নিতে হবে। এবং পুনরায় ভুল সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড
উপরের সকল কাজ সম্পন্ন করা হলে আপনাকে ১৮০ বা সামান্য কিছু বেশি (আপনার সংশোধনের ওপর ভিত্তি করে) ফি টেলিটক বা বিকাশ এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। তারপর আপনার দেওয়া তথ্যগুলো ভেরিফাই করার জন্য কিছুদিন সময় নেওয়া হবে। সকল তথ্য সঠিক হলে তা কতৃপক্ষ ভেরিফাই করে আপনার মোবাইল নম্বরে SMS প্রেরণ করবে। সেই এসএমএস পাওয়ার পর আপনি আপনার NID Card বা ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। তারপর যেসকল কাজে এন আইডি কার্ড প্রয়োজন হয় তা দিয়ে আপনি আপনার যাবতীয় কাজ করতে পারবেন।
NID Card Download
আপনি চাইলে এখন ঘরে বসে খুব সহজে অনলাইনে আপনার NID Card / Voter ID Card / ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আগে যথাযথভাবে একিউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে যা আমরা ইতমধ্যেই বর্ণনা করেছি। যদি আপনার আবেদনটি সম্পন্ন হয়ে মোবাইলে একটি এসএমএস পেয়ে থাকেন তাহলে অনলাইন থেকে আপনি আপনার NID কার্ডটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এর জন্য আপনার করণীয় কী তা জেনে নিন:
- প্রথমে আপনাকে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ লিংকে প্রবেশ করতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।
- এরপর আপনার জন্ম তারিখ দিতে হবে।
- সিকিউরিটি ক্যাপচা কোড সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- উপরোক্ত তথ্য দিয়ে লগিন করতে হবে।
- নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ড্যাসবোর্ড থেকে আপনার NID card download করতে পারবেন।
NID Card ডাউনলোড করতে যা যা লাগবে
আমরা যদি অনলাইন থেকে আমাদের এন আইডি কার্ড উত্তোলন করতে চাই তবে আমাদের বেশ কিছু তথ্য সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে। অনলাইন থেকে NID পেতে আমাদের যা যা লাগবে তা নিম্নরূপ:
- প্রথমেই লাগবে NID নাম্বার অথবা ভোটার স্লিপ নাম্বার।
- আইডি কার্ড আবেদন করার সময় যে মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিলো সেই মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে।
- বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে। তবে আইডি কার্ড আবেদন করার সময় যে ঠিকানা দেওয়া ছিলো উক্ত ঠিকানা প্রদান করতে হবে।
- যেই ব্যক্তির NID card উত্তলোন করা হচ্ছে সেই ব্যক্তিকে উপস্থিত থাকতে হবে।
উপরোক্ত তথ্য উপস্থাপন করে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। তারপর ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময় পযন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পরে ব্যক্তির দেওয়া মোবাইল নম্বরে SMS যাবে এবং তারপর তিনি তার NID Card Download করতে সক্ষম হবেন।
সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড
আপনারা অনেকেই এই ঝামেলায় পড়তে পারেন। প্রথমে আবেদন করার সময় বা যেকোন কারণে ভোটার আইডি কার্ড করার সময় ত্রুটি বা মিসটেক হতে পারে। বিশেষ করে নামের বানান ভুল বা ঠিকানা ভুল হতে পারে অথবা অনেকেই পরবর্তীতে কোন তথ্য বা ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইতে পারেন। এরজন্য প্রয়োজন প্রথমেই আপনাকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করতে হবে। তারপর সেখান থেকে আপনার আবেদন ভেরিফাই করা হবে। ভেরিফাই করার জন্য একটু বেশি সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। ভেরিফাই সম্পন্ন হলে একই ভাবে আপনি এসএমএস পাওয়ার পর আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর সংশোধন কপি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
শেষকথা
আজকে আমরা অনলাইনে NID Card Download বা জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ও প্রসেস আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। আশা করি অনেককেই এই বিষয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়। উক্ত নিবন্ধে আমরা আপনার এই সকল বিষয়ে তথ্য দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই পোস্ট পড়ে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।